ববি প্রতিনিধি ॥ করোনা সংকটে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে ক্লাস কার্যক্রম চালু রাখলেও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়(ববি) তেমন কোন কার্যক্রম শুরু করতে পারে নি। কিছু দিন আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসির কর্তৃক একটি নির্দেশনার আলোকে সীমিত পরিসরে পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইন ক্লাস শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী এই অনলাইন ক্লাসের ব্যপারে দ্বিমত পোষণ করে।
অনেক শিক্ষার্থীর এলাকায় নেটওয়ার্ক সমস্যা, স্মার্ট ফোন সমস্যা তীব্র হওয়ায় তাদের অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হওয়া প্রায় অনিশ্চিত। এমন পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন বিশ্ববিদ্যালয়টি। তাই বন্ধ হতে যাচ্ছে এই অনলাইন ক্লাস কার্যক্রম। অনলাইনে লাইভ ক্লাস চালু রাখা সম্ভব না হলেও বিকল্প উপায়ে কিভাবে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা সচল রাখা যায় সে বিষয়ে বিকল্প ভেবে দেখা হচ্ছে। বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের লাইভ ক্লাসে অংশগ্রহনে সীমাবদ্ধতা থাকায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে এ ব্যপারে বৃহস্পতিবার পূর্নাঙ্গ সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। এসব তথ্য নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়টির একাধিক শিক্ষক।
বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. খোরশেদ আলম জানান,” শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার ব্যাপারে একটা নির্দেশনা আসে। সেটার আলোকে এবং উপাচার্যের পরামর্শে পরীক্ষা মূলক অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তবে শিক্ষার্থীদের মতামত পর্যালোচনা ও বর্তমান বাস্তবতায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হতে পারবে না।”
তিনি আরো বলেন, “যেহেতু অনলাইন লাইভ ক্লাসে অনেকে শিক্ষার্থীর বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই এমন সিদ্ধান্ত বাতিল করা হতে পারে । আগামী বৃহস্পতিবার উপাচার্যের সঙ্গে বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব ব্যপারে আলোচনার মাধ্যমে পূর্নাঙ্গ সিদ্ধান্ত আসবে বলে জানান তিনি।”
বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর ড. সুব্রত কুমার দাশ জানান, “অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার কথা ভাবা হয়েছে শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে। পরীক্ষামূলক ভাবে কিছু ক্লাস নেওয়া হয়েছে অনলাইন লাইভ ক্লাসের সম্ভাব্যতা যাচাই করার জন্য। এগুলো নিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্বিগ্ন হবার কোন কারণ নেই। শিক্ষা কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে গিয়ে আমরা এমন কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না যাতে বৃহৎ অংশের শিক্ষার্থীদের সমস্যা হয়।”
উপাচার্য ড. মোঃ ছাদেকুল আরেফিন বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রনালয় এবং ইউজিসির একটি নির্দেশনার আলোকে পরীক্ষা মূলক ভাবে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার ব্যাপারে বিভাগ গুলোর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। সেই কার্যক্রম শুরু করার সম্ভাব্যতা যাচাই ছিল মূল লক্ষ্য। তাই এগুলোর মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া কিংবা নম্বর দেওয়ার কোনো ব্যাপার নেই। অতএব শিক্ষার্থীদের ভীত হবার কোন কারণ দেখছি না।’
তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান, তারা যেন নিজ নিজ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে যৌক্তিক মতামত দেয়। সেসব মতামত পর্যালোচনা করে বিভাগীয় প্রধানদের মাধ্যমে সুপারিশ আকারে গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য ।
Leave a Reply